
ভূমিকা:
বর্তমান বৈশ্বিক ও দেশীয় প্রেক্ষাপটে বেকারত্ব একটি গুরুতর সমস্যা। বিশেষ করে যুব সমাজ যখন কর্মসংস্থান না পায়, তখন তা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক দুরবস্থা নয়, বরং সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই একটি টেকসই, সম্মানজনক ও নৈতিকতাভিত্তিক কর্মসংস্থানের পরিবেশ তৈরি সময়ের চরম দাবি।
উদ্দেশ্য:
-
কর্মহীন ও হতাশ যুবকদের আত্মনির্ভরশীল জীবনের পথে পরিচালিত করা
-
হালাল উপার্জনের উৎস ও কৌশল শেখানো
-
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি এবং তাদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান
-
সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্য, আত্মমর্যাদা ও সম্মানজনক জীবিকা প্রতিষ্ঠা করা
মূল কার্যক্রমসমূহ:
-
ফ্রি স্কিল ট্রেনিং (হস্তশিল্প, আইটি, টেইলারিং, ইলেকট্রনিক্স, ফুড প্রসেসিং ইত্যাদি)
-
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য বিনা সুদে বা অল্প শর্তে আর্থিক সহায়তা
-
হালাল উপার্জনের ফিকহভিত্তিক ওয়ার্কশপ
-
সফল উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার সেশন
-
নারীদের জন্য পৃথক কর্মসংস্থান কর্মসূচি
-
তরুণদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ও অনলাইন মার্কেটপ্লেস প্রশিক্ষণ
-
দক্ষতা যাচাই করে চাকরি সংযুক্তি সহযোগিতা
টার্গেট গ্রুপ:
-
বেকার যুবক ও যুবতী
-
গ্রামীণ দরিদ্র পরিবার
-
মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজের গ্র্যাজুয়েট
-
মধ্যবিত্ত, যারা সম্মানজনক জীবিকা খুঁজছেন
-
চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী তরুণ সমাজ
প্রত্যাশিত ফলাফল:
-
বেকারত্ব হ্রাস পাবে
-
হালাল রিযিক অর্জনের প্রতি আগ্রহ বাড়বে
-
আত্মনির্ভরশীল পরিবার ও ব্যক্তি সমাজে বৃদ্ধি পাবে
-
সমাজে দান নির্ভরতাকে কমিয়ে সম্মানজনক জীবিকা উৎসাহিত হবে
-
ইসলামি মূল্যবোধসম্পন্ন উদ্যোক্তা তৈরি হবে
উপসংহার:
কর্মসংস্থান তৈরি কোনো দয়া নয়, এটি সমাজ গঠনের একটি অত্যাবশ্যকীয় দায়িত্ব। ব্যক্তি, পরিবার এবং সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে – কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, সম্মানজনক কাজের সুযোগ বাড়িয়ে, এবং একজন মানুষকে তার পায়ে দাঁড়াতে সহায়তা করে।